বুয়েটের ভিসির নাম কি?
This post is only for NDC admission candidates,,others can ignore it.
তোমরা যারা আজকে নটরডেম কলেজে অ্যাডমিশন এক্সাম দিয়েছো , হোপফুলি সবার পরীক্ষা ভালো হয়েছে। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রেজাল্ট দিয়ে দিবে & তোমাদেরকে ভাইভার জন্য ডাকা হবে। এই পোস্টে মেইনলি ভাইভার জন্য তোমাদেরকে কিছু সাজেশন দিবো & পাশাপাশি এনডিসিতে আমার ভাইভা-র এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করবো।
আমার কাছে মনে হয় নটরডেমের ভাইভায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় স্টুডেন্টের ড্রেসআপ আর আচরণের প্রতি। প্রশ্নের অ্যান্সার দেয়া খুব একটা ম্যাটার করে বলে আমার কাছে মনে হয় না। আমার ভাইভা-র দিন আমাকে ৪ টা প্রশ্ন করা হয়েছিলো। এর মধ্যে আমি ২ টার অ্যান্সার পারছি আর বাকি দুইটা পারি নাই। ওই দুইটার মধ্যে একটা ছিলো খুবই ইজি, BUET এর পূর্ণরূপ কী? আর অন্যটা ছিলো বুয়েটের ভিসির নাম কী, যেটা আমি সকালের শিফটের একজন থেকে শুনেছিলাম , তাকে ঢাবির ভিসির নাম আস্ক করেছিলো। তাই আমি বেশ কয়েকটা ভার্সিটির ভিসির নাম শিখে গিয়েছিলাম, & লাকিলি আমাকেও টিচার বুয়েটের ভিসির নামই আস্ক করলেন। তবে আমার আগে-পরে কাউকে কোনো ভিসি রিলেটেড প্রশ্ন করে নাই।
আর যে দুইটা প্রশ্ন পারি নাই সে দুইটা সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক ছিলো, একটা ছিলো-BGM এর পূর্ণরূপ কী? আমার মাথায় ঘুরতেছিলো background music 😂, বাট সেটা তো আর বলা যায় না,বললাম সরি স্যার। ওইটার অ্যান্সার ম্যায়বি বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচার টাইপের সামথিং হবে কারণ ওইসময় গার্মেন্টস কর্মীদের কী একটা আন্দোলন চলতেসিলো। আর আরেকটা প্রশ্ন ছিলো,জাপানের সম্রাটের নাম কী,,ওইসময় জাপানের সম্রাট চেঞ্জ হইসিলো ২০১৯ সালে, সেটাও আমি পারি নাই।
যাই হোক,এখান থেকে কিছুটা আইডিয়া পাওয়া যায় যে, রিসেন্ট ঘটনা থেকে সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন আসে ভাইভাতে। তবে সব টিচার তো একরকম না, সো দেখা গেলো কোনো এক টিচার জেনারেল নলেজ কিছুই আস্ক করলো না,বরং মেইন বই থেকেই কোশ্চেন করলো, এমন এক্সাম্পলও আছে।
আমার এমন ফ্রেন্ডও আছে যে ৫ টার জাস্ট ১ টা অ্যান্সার করে চান্স পেয়ে গেছে,আবার ৭ টাতে ৬ টা অ্যান্সার করেও চান্স পায় নি এমনও আছে। সেজন্যই বললাম যে আমার মতে প্রশ্ন অ্যান্সার করাটা খুব একটা ম্যাটার না। সো,ভাইভাতে তোমার মেইন কাজ হচ্ছে টিচারকে ইমপ্রেস করতে হবে। সেটা তোমার কথাবার্তা,সার্টিফিকেট,গেটআপ যেভাবেই হোক। আমি স্কুল লাইফে খেলাধুলা,ডিবেট,অলিম্পিয়াড করতাম,এগুলার অনেক সার্টিফিকেট ছিলো,সব নিয়ে গেছিলাম। ( ভাইভা-র সার্কুলারেই দেখবা কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির সার্টিফিকেট সব নিয়ে আসতে বলবে) । তো আমার এক বান্ডেল সার্টিফিকেট দেখেই টিচার আস্ক করছিলেন,এইগুলা কীসের? আমি অ্যান্সার দেয়াতে স্যারকে কিছুটা ইমপ্রেসড মনে হলো,যেটা ওই মোমেন্টে আমার কনফিডেন্স হাই করে দিয়েছিলো।
সো,হোপফুলি তোমরা এখান থেকে ভাইভা সম্পর্কে কিছুটা আইডিয়া পেয়েছো।আর এক্সট্রা কিছু সাজেশন দিই-যত কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির সার্টিফিকেট আছে,সব নিয়া যাবা,অবশ্যই ভ্যালিড হতে হবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর না পারলে ভুলেও আন্দাজে ট্রাই করবা না,সরি বলে বলবে যে পারতেছো না। চুল ছোটো/মিডিয়াম করে কেটে যাবা। সামনে গিয়ে আগে সালাম/গুড মর্নিং বলবা, ভাইভার টেবিলের সামনে গিয়ে টিচার বসতে না বলা পর্যন্ত দাঁড়াই থাকবা। & লাস্টলি আমার একটা পার্সোনাল অপিনিয়ন শেয়ার করি, সেটা হলো আমার ভাইভার আগে আমার সিনিয়ররা বলসিলেন,ভাইভাতে একটু আঁতেল বা বোকা বোকা ভাব ধরে থাকতে। খুব সম্ভবত এনডিসিতে সহজসরল ছেলেদেরকে প্রায়োরিটি দেয়,ভেবে নেয় এরা কলেজে এসে কোনো গন্ডগোলে জড়াবে না। সো আমিও আমার ভাইভাতে একদম সাধু হয়ে বসেছিলাম,এক্সট্রা কোনো কথা বা রিঅ্যাকশন দেখাই নি & ফাইনালি কয়েকদিন পর রেজাল্ট দিলো,সিলেক্টেড হলাম আলহামদুলিল্লাহ।
আরেকটা পার্সোনাল অপিনিয়ন,আমার কাছে কোনো ভাইভা-ই অ্যাকুরেট মনে হয় না, এনডিসির ভাইভা তো আরো রিস্কি, প্রত্যেক বছরই দেখা যায় ডিজার্ভিং টপ ট্যালেন্ট অনেকে চান্স পায় না,আর লাইমলাইটে না থাকা অনেকেই চান্স পেয়ে যায়। সো, ভাগ্যের একটা ব্যাপার যেহেতু আছে, তুমি যদি ভাইভাতে সিলেক্টেড নাও হও,নিজেকে অযোগ্য ভাবার কোনো কারণ নাই,সিস্টেমের ফল্ট ধরে নিতে পারো।
আর যদি কারো সকালে ভাইভা থাকে এবং আগেরদিন এসে আরামবাগে থাকতে হয়, অথবা আগে আগে চলে আসলে রেস্ট নেয়া/ওয়াশরুম ইউজ,অথবা আরামবাগ কেন্দ্রিক যেকোনো হেল্প লাগলে সেক্ষেত্রে নয়ন ভাইর সাথে যোগাযোগ করতে পারো - M. D. Noyan (01867271100)
আর সবশেষে ভাইভা থেকে বের হলেই দেখবা বিভিন্ন হোস্টেল থেকে ভাইয়ারা এসে কার্ড দিবে,হোস্টেল দেখে যাওয়ার রিকোয়েস্ট করবে,নাম্বার নিয়ে রাখবে। চান্স পেলে ওরাই তোমাকে কল দিয়ে নিউজ দিবে,ওদের হোস্টেলে সিট নেয়ার জন্য রিকুয়েস্ট করবে,, তখন রেজাল্টের খুশিতে কোনো খোঁজ বাদেই ওই হোস্টেলে বুকিং দিয়ে দিয়ো না। আরামবাগে অসংখ্য হোস্টেল আছে,খাবারদাবার আসলে সব হোস্টেলেই কাছাকাছি মানের,সো কোনো হোস্টেল বুকিং দেয়ার আগে ওই হোস্টেলের পরিবেশ আর মিল সিস্টেম টা চেক করে নিবা। মিল সিস্টেম অন/অফ বলতে একটা ব্যাপার আছে,লাইক-তুমি ঈদের ছুটিতে বা শুক্র শনিতে বাড়িতে গেলা,তখন মিল অফ করে গেলে ওই দিনগুলোর খাবারের টাকা আর দেয়া লাগবে না। বাট মিল অন/অফ সিস্টেম না থাকলে তোমাকে পুরো মাসের ৩০ দিনের মিলের টাকা দিতে হবে,তুমি খাবার খাও বা না খাও সেটা ম্যাটার করবে না। সো এইসব বিবেচনা করে হোস্টেল বুকিং দিতে পারো। আমি আমার কলেজ লাইফে রংধনু ছাত্রাবাসে ছিলাম,তাই আমাকে কেউ আস্ক করলে আমি এই হোস্টেলটাই প্রেফার করি।পাশাপাশি তারুণ্য ছাত্রাবাস,উদয়ন ছাত্রাবাসেও আমার ফ্রেন্ডরা ছিলো,ওদের কাছ থেকে ওদের হোস্টেল সম্পর্কে পজিটিভ ফিডব্যাক পেয়েছি।
আমার ইচ্ছা ছিলো,পুরো এক্সপেরিয়েন্স & গাইডলাইন নিয়ে একটা ভিডিও করে আমার ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট দিবো,বাট সিকনেসের কারণে সেটা ম্যায়বি সম্ভব হবে না,তাই এতো বড় পোস্ট লিখা। কারো কোনো হেল্প বা প্রশ্ন থাকলে ফিল ফ্রি টু আস্ক মি এনিটাইম। বেস্ট অফ লাক।